আমার টাকায় আমার সেতু, বাংলাদেশের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির গৌরব, সম্মান, আত্মনির্ভরশীলতা, আত্মমর্যাদা আর সক্ষমতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। অদম্য বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ আর স্বপ্ন নয়। সেই স্বপ্ন এখন আনন্দময় বাস্তবতা। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের সর্ববৃহৎ এই সেতু কোটি বাঙালির বঞ্চনার পরিসমাপ্তির এক অনন্য উপাখ্যান।
গত ২৫ জুন গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর স্বাপ্নিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব, অপরিমেয় সাহস, প্রজ্ঞা ও দৃঢ়তার প্রতীক পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেন। কিন্তু সেই সময় সিলেটে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি থাকায় আনন্দ অনুষ্ঠান করা হয়নি। কিছুটা বিলম্বে হলেও ঐতিহাসিক এ অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সিলেটে আজ (৩১ জুলাই) বিকাল ৫টায় নগরীর পূর্ব শাহী ঈদগাহস্থ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পূর্বে জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত এর সভাপতিত্বে আলোচন পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্ত্তী। আবৃত্তিশিল্পী রোহেনা সুলতানার সঞ্চালনায় আলোচনাপর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগ, একাডেমি ফর মণিপুরী কালচার এন্ড আর্টস, ললিত-মঞ্জরী সিলেট, নৃত্যরথ সিলেট, বিজন কান্তি রায়, পল্লবী দাস মৌ, অর্পিতা তালুকদার ও পুষ্পা চৌধুরী। সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিচালনায় ছিলেন পূর্ণিমা দত্ত রায়, প্রতীক এন্দ, অরুণ কান্তি তালুকদার, জ্যোতি ভট্টাচার্য্য, শান্তনা দেবী, প্রতিভা রায় কেয়া ও পপি দাস। উপস্থিত হলভর্তি দর্শকদের মুহুর্মুহুর করতালিতে প্রশংসিত হয় শিল্পীদের সকল পরিবেশনা।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS